সমাজে নারী-পুরুষের সমতা আনতে বহুমাত্রিক আন্দোলনের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) কবি সুফিয়া কামালের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত স্মরণ সভা বক্তারা এ কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, তরুণদের মধ্যে কবি সুফিয়া কামালের চর্চা বাড়াতে হবে। এজন্য আামদের সেতুবন্ধনের কাজ করতে হবে। সুফিয়া কামালের জীবনী পাঠ এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস বলেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন সমসাময়িক কালের একজন প্রভাবশালী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি সিভিল সোসাইটির একজন একনিষ্ঠ কর্মীও ছিলেন। তিনি নারী পুরুষের সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে আজীবন আন্দোলন করে গেছেন। তরুণ সমাজকে এ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। পুরুষতন্ত্র ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সানজীদা আখতার বলেন, যার স্মরণে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি এ মহিলা পরিষদ তারই হাত ধরে গড়ে উঠেছে। আমরা পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে তাকে কবি পরিচয়েই চিনি। নারী আন্দোলনে তার ভূমিকা, দেশ ভাগের ভূমিকা, মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকার বিষয়ে তরুণ প্রজন্মের তেমন পরিচয় নেই। তাকে কবি পরিচয়ের বৃত্ত থেকে বের করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, সিনিয়র প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কর্মকর্তা শাহজাদী শামীমা আফজালী, সহ-সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ প্রমুখ।