আওয়ামিলীগের মনোনয়ন থেকে বাদ পড়ছেন কে কে, এ নিয়ে কয়েকধরে নানা গুঞ্জন শোনা গেছে। আজ অন্তত দুজন শীর্ষ নেতা মনোনয়নের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। দুজন হলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আওয়ামিলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামিলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় প্রার্থীদের চিঠি দেওয়া শুরু হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই চিঠি বিতরণ করছেন।
কয়েক দিন ধরে সাবেক সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানক অনেকটা ‘ঝুলন্ত’ অবস্থায় থেকে দলে আলোচনায় ছিলেন। আজ তাঁর আসন ঢাকা-১৩ থেকে সাদেক খান আওয়ামিলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামিলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ মাদারীপুর-৩ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় বাদ পড়েছেন আগের সাংসদ বাহাউদ্দিন নাছিম ।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সঙ্গে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের, সংঘাতও হয়েছে অনেকবার। মাদারীপুর সদর আসনে বাহাউদ্দিন নাছিম মনোনয়ন পাচ্ছিলেননা শাজাহান খানের কারণে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠার পর সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বাদ পড়েন। এই আসনে সাংসদ হন বাহাউদ্দিন নাছিম।
বাহাউদ্দিন নাছিম যাতে মনোনয়ন না পান, সে বিষয়ে শাজাহান খান ও সৈয়দ আবুল হোসেন দুজনই তৎপর ছিলেন বলে দলীয় সূত্র জানায়। এই কোন্দলের জেরে আবদুস সোবহানের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার সাংসদ দুই মেয়াদের,এছাড়া ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন এর আগের মেয়াদে। তাঁর মনোনয়ন নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা দলের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচিত বিষয় ছিল। তবে তাঁর আসনে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন, এ বিষয়ে কেউ নিশ্চিত ছিলেন না। সম্প্রতি নানক গণভবনে গিয়ে নিজের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এ সব আলোচনার মধ্যেই আওয়ামিলীগ থেকে আজ দলীয় মনোনয়ন পেলেন আবদুস সোবহান গোলাপ ও সাদেক খান।