রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এমপি মনোনয়ন চাই

একুশে নিউজ
  • প্রকাশিত সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ২:২৩
  • ২৭৬ এই সময়
  • শেয়ার করুন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এমপির মনোনয়ন দাবি করেছেন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনিস-উজ-জামান আনিস।

মুন্সীগঞ্জ-৩ (মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া) আসন থেকে এবার মনোনয়ন চান তিনি। এ নিয়ে বুধবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জ শহরের মুক্তিযাদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সড়কে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করেন আনিস-উজ-জামান। এ সময় শহরের প্রধান সড়ক জনসমুদ্রে রূপ নেয়।

শোডাউনে অংশ নেন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ৮ ইউনিয়নের পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যান, দুই পৌরসভার চেয়ারম্যান, গজারিয়ার নয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান, দুই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, প্রায় সব ইউনিয়ন ও পৌরসভার কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ বিপুলসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ও দলীয় নেতাকর্মী।

শোডাউন শেষে এক আলোচনা সভা করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন- মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূইয়া। এতে আলোচনা করেন- গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম।

munsigonj

এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন- মুন্সীগঞ্জ পৌর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল কবির মাস্টার এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মতিউল ইসলাম হিরু, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মমতাজ বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল হোসেন ও কামাল উদ্দিন আহম্মেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক দুই ডেপুটি কমান্ডার আলী আহম্মেদ বাচ্চু ও এনামুল হক, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্সীগঞ্জের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন, ভাইস চেয়ারম্যান আমির হোসেন গাজী এবং জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন পীর প্রমুখ।

এ সময় আনিস-উজ-জামান বলেন, আমি ১৯৬৫ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর মহকুমা কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ করি। পরবর্তীতে একবার মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ও দুইবার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনয়ন চাই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নেত্রীর নির্দেশের বাইরে আমি যাব না। আমি দলে বিশ্বাসী। দল মনোনয়ন না দিলে আমি বিদ্রোহী প্রার্থী হব না। মুন্সীগঞ্জে প্রায় ছয় হাজার মুক্তিযোদ্ধা আমার সঙ্গে আছেন। তারা আশাবাদী আমি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনয়ন পাব। মনোনয়ন পেলে আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব।

আনিস-উজ-জামান আরও বলেন, গজারিয়া ও সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং বিপুল সংখ্যক জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় জনগণ চায় একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি দল থেকে মনোনয়ন পাই।

আলোচনায় পৌর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব বলেন, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন দৌড়ে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে আনিস-উজ-জামান যোগ্যপ্রার্থী। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দিলে তিনি জয়ী হবেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হলেও তাকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি আমাদের সবার।

এই বিভাগের আরো খবর

ব্রেকিং:

কাউন্সিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিবর্তন হতে পারে

বাজারে বাহারি সবজিতে মিলছে না স্বস্তি

ভবনে থাকেন বিএনপি নেতা, পার্কিংয়ে মিলল এস আলমের গাড়ি

পদত্যাগ করল আউয়াল কমিশন

এক যুগ পর বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়লেন পাপন

শিক্ষার্থীরা এ দেশকে পুনর্জন্ম দিয়েছে: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ আজ

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র

আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সরকার উৎখাতে গড়াবে, সেটি কেউ ভাবেনি: জয়

আলোচনায় বসতে চায় আওয়ামী লীগ: জয়