অর্থনীতির সার্বিক কল্যাণে স্টেকহোল্ডাদের সঙ্গে আলোচনার করে এলএনজির মূল্য নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। শনিবার (২৪ নভেম্বর) মতিঝিলে ঢাকা চেম্বারে ‘এলএনজি মূল্য নির্ধারণ : ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পখাতে-এর প্রভাব’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ দাবি করা হয়।
তিনি জানান, দেশে বর্তমানে প্রতিদিন গ্যাসের উৎপাদন প্রায় ২,৭০০ মিলিয়ন কিউবিক ফিট যেখানে আমাদের চাহিদা রয়েছে ৩,৪০০ মিলিয়ন কিউবিক ফিট। চেম্বারের সভাপতি বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারকে মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে এলএনজির দাম নির্ধারণে পাশ্ববর্তী দেশগুলোর কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেন তিনি।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে কূপ অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও বাড়ানো এবং একই সঙ্গে বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানো একান্ত আবশ্যক। স্থানীয় কয়লার উত্তোলন ও তার ব্যবহারের তাগিদ দেন তিনি। এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো হতে একই দামে বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব হলে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের শিল্প-কারখানায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এলএনজি আমদানির পর তার দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় যেন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি না পায় সেদিকে নজর রাখা হবে। বিইআরসির সদস্য রহমান মুরশিদ বলেন, অর্থনীতিতে গ্যাসের ভূমিকার উপর একটি গবেষণা পরিচালনা করা প্রয়োজন। যার ফলে কোন খাতে কি পরিমাণ গ্যাস বরাদ্দ করা হবে তা নির্ণয় সম্ভব হবে। তিনি বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই গ্যাসের পাশাপাশি অন্যান্য উৎসসমূহের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। এলএনজির নির্ধারত মূল্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর কি ধরনের প্রভাব ফেলবে তা খতিয়ে দেখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।