প্রথমেই লালবাগ মাদ্রাসার একজন তরুণ হাত তুলে কথা বলতে চাইলেন। তারপর স্পষ্টভাবে তরুণদের উগ্রবাদে জড়িয়ে যাওয়ার কারণ আর তার প্রতিকার নিয়ে তার মতামত দিলেন। স্টেজে বসে থাকা আমরা একটু নড়ে চড়ে বসলাম! তারপর একে একে অন্য প্রতিষ্ঠানের তরুণ শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত দিতে লাগল।
আমি হতবাক! অনুষ্ঠান শুরুর আগে তরুণদের উগ্রবাদে ঝুঁকে পড়বার কারণ সম্পর্কে অনেক আলাপ চলছিল আমন্ত্রিত গুণীজনদের সাথে। সেগুলো পয়েন্ট করে নিয়েছিলাম আমার নোটপ্যাডে। পাশাপাশি প্রতিকারের সম্ভাব্য কিছু উপায়। একে একে তরুণ শিক্ষার্থীরা তাদের সাবলীল মতামত দিচ্ছেন আর আমরা স্টেজে বসে অবাক হচ্ছি! নোটপ্যাডে লেখা পয়েন্টগুলো এক এক করে কেটে ফেলতে হচ্ছিল আমাকে! শিক্ষার্থীরা দেখলাম প্রাণবন্ত ভাবে মোটামুটি অনেকগুলো দিক উন্মোচন করে ফেলেছে! তাদের পাশাপাশি বলছিলেন চৌকস সংবাদকর্মীরা..! আমি নতুন করে আমার বক্তব্য সাজালাম। চটপটে বাচ্চাগুলোর (আমার বয়স ৪০ এর কাছাকাছি তো, ওদেরকে বাচ্চাই মনে হচ্ছিল) কথা শুনে আমার/আমাদের খুব গর্ব হতে লাগল। অনুপ্রেরণা দিতে গিয়েছিলাম… বাচ্চাগুলোর কাছ থেকে এক ব্যাগ অনুপ্রেরণা নিয়ে ফিরেছি। কিছুদিন আগে বলা এই শিক্ষার্থীদের একটি কথা মনে মনে উচ্চারণ করলাম—
“যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ
যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ…”।
(মেহের আফরোজ শাওনের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)