শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন

পারিবারিক কলহের জেরে রাগের মাথায় স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করেন!

একুশে নিউজ
  • প্রকাশিত সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:৪৪
  • ২৭৬ এই সময়
  • শেয়ার করুন

শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর হত্যার এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১ অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম।

পারিবারিক কলহের জেরে রাগের মাথায় শাহজাহান মিয়া তার স্ত্রী আফরোজাকে গলা টিপে হত্যা করেন! ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে তাৎক্ষণিক মরদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে বন্ধু খোকন মিয়া ও মুকুলের সহযোগিতা নেন শাহজাহান। পরস্পর যোগসাজশে রাতে বাসার পার্শ্ববর্তী সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে দেন। শাহজাহান ও খোকন মরদেহ বাসা থেকে নিয়ে যান এবং মুকুল রাস্তা পাহারা দেন।

শুধু তাই নয়, আফরোজার মরদেহ গুম করার পর শাজাহানের কাছ থেকে খোকন চার হাজার এবং মুকুল আড়াই হাজার টাকা নেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। কারণ, নিজেরা ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে পরদিন স্থানীয় কাউন্সিলরকে আফরোজা হত্যার ঘটনা জানিয়ে দেন খোকন ও মুকুল।

শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর হত্যার এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১ অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম।

গত ৩ জানুয়ারি সকাল ৯টায় গাজীপুর নগরীর ভাওরাইদ উত্তরপাড়া এলাকায় স্ত্রী আফরোজা বেগমকে (২৬) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বামী শাহজাহান। পরবর্তীতে ৪ জানুয়ারি রাতে জানাজানি হয় এবং সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) রাতে ডেমরা এলাকা থেকে হত্যার সঙ্গে জড়িত আফরোজার স্বামী শাজাহান মিয়া (২৮) এবং মরদেহ গুমে সহায়তাকারী তার দুই বন্ধু খোকন মিয়া (২২) ও মুকুল মিয়াকে (২৫) গ্রেফতার করে র‌্যাব-১।
এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়। হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-১ হত্যাকারী খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে দ্রুততার সঙ্গে ছায়া তদন্ত শুরু করে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১ অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘আট বছর আগে গাজীপুরের একটি সুতার মিলে কাজ করার সময় শাজাহান ও আফরোজার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সংসারে একটি কন্যা সন্তানও ছিল তাদের। কিন্তু বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করতে থাকেন শাজাহান। এ কারণে, তাদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকত।’

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, ২০১৬ সালে আফরোজা কাজের উদ্দেশে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর স্ত্রীর কাছে বিদেশে অর্জিত টাকার হিসাব চাইতে থাকেন শাজাহান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ বেড়ে যায়।’

তদন্তে র‌্যাবের জানতে পারে, গত ৩০ নভেম্বর আফরোজা ভোট দিয়ে বাসায় ফেরার পর তাকে বেধড়ক মারধর করেন শাজাহান। এরপর ৩ জানুয়ারি সকালে দুজনের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী আফরোজাকে গলা টিপে হত্যা করেন শাজাহান। এরপর খাটের নিচে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন।

র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘হত্যার পর স্ত্রীর মরদেহ গুম করতে শাজাহান তার বন্ধু খোকন ও মুকুলকে বাসায় ডাকেন আনেন। তিনজন মিলে ওইদিন রাতে বাসার পাশে সেপটিক ট্যাংকে আফরোজার মরদেহ ফেলে দেন। গুমের পর শাজাহানের কাছ থেকে খোকন চার হাজার এবং মুকুল আড়াই হাজার টাকা নেন। টাকা নিলেও খোকন ও মুকুল ঘটনা জানাজানির ভয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে বিষয়টি বলে দেন। তারা কাউন্সিলরকে জানান, রাতে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তারা দেখতে পেয়েছেন শাজাহান তার স্ত্রীর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিচ্ছেন।’

লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি শাহাজানকে গ্রেফতারের পর তার অভিযোগের ভিত্তিতে খোকন ও মুকুলকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর

ব্রেকিং:

আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা পাকিস্তানের

১৭ জেলায় হতে পারে ৬০ কিমি বেগে ঝড়, সতর্ক সংকেত

সরকারি হাসপাতালগুলোতে আছে রাসেল’স ভাইপারের এন্টিভেনম

বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে, কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণের শঙ্কা

শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অচল ৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

স্ত্রীকে ফেসবুক থেকে দূরে রাখা নিষ্ঠুরতার শামিল

রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে এটিইউ

ধনী কর্মকর্তাদের সম্পদের উৎসের খোঁজ শুরু করছে দুদক

টি-২০ বিশ্বকাপে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরার পুরস্কার পেলেন যারা

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব বিশেষ নির্দেশনা