প্রশাসনের পাতা ফাঁদে আরও তিন শিক্ষার্থী ধরা পড়েছেন। তারা ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে মেধা তালিকায় শীর্ষ স্থান অর্জন করেন। পরে গতকাল ভর্তি সাক্ষাতকারেও সফল হন। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো বৃহস্পতিবার ভর্তি হতে এসে। তাদের জালিয়াতির ব্যাপারে আগেই তথ্য পেয়ে যায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে গতকাল বুধবার ভর্তি সাক্ষাতকার দিতে এসে আটক হন আট শিক্ষার্থী। তারা দুইটি অনুষদের ভর্তি মেধা তালিকায় শীর্ষ স্থান অর্জনকারী ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলাম একুশে নিউজকে বলেন, ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীর ব্যাপারে গতকালই আটক এক শিক্ষার্থী আমাদের তথ্য দেন। সেই বিষয়টি গোপন করে ভর্তি হতে আসা তিন শিক্ষার্থীর জন্য অপেক্ষা করি আমরা। ভর্তি হতে আসলে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের ১ হাজার ৩১৫টি আসনের বিপরীত মেধা তালিকা থেকে সাক্ষাতকার নেয়া হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলা সাক্ষাতকারে প্রথমে সাত এবং পরে আরও এক শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
দ্বিতীয়দিনে আটক শিক্ষার্থীরা হলেন- প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের দ্বিতীয় স্থান অধিকারকারী ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার মোস্তাফিজুর রহমান, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের দ্বিতীয় স্থান অধিকারকারী সিরাজগঞ্জ জেলার মাহিদুল ইসলাম রিদুল, একই অনুষদের ষষ্ঠ স্থান অধিকারী টাঙ্গাইল জেলার রেজাউল করিম।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলাম বলেন, প্রশাসন ভর্তি জালিয়াতি রোধে বদ্ধপরিকর। আটক শিক্ষার্থীরা টাকার বিনিময়ে অন্যজনকে দিয়ে প্রক্সি দিয়ে চান্স পান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহিব্বুল ইসলাম একুশে নিউজকে বলেন, দুই দিনে ১১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।