ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফুলঝুরি। একের পর এক সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি। চারদিক থেকে দাবি উঠতে শুরু করে সৌম্য সরকারকে দলে নেয়ার জন্য। জাতীয় দলের নির্বাচকরাও আর বিলম্ব করলেন না, ফিরিয়ে আনলেন সৌম্য সরকারকে। শুধু ফিরে আসাই নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দলে সুযোগ মিলে যায় তার। কিন্তু জাতীয় দলে ফিরেই আবার সেই চেনা পথে সৌম্য সরকারের ফর্ম। প্রথম ইনিংসে কোনো রান করতে পারেননি। আউট হয়েছিলেন প্রথম ওভারেই। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌম্য সরকার রানের খাতা খুলতে পেরেছিলেন। তবে, খুব বেশি দুর যাওয়া হলো না তার। মাত্র ১১ রান করতে পারলেন। এরপরই উইকেটটা বিলিয়ে দিয়ে এলেন তিনি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলেই রোস্টন চেজকে জায়গায় দাঁড়িয়ে অহেতুক ড্রাইভ করতে গেলেন সৌম্য। বল ঠিক মত ব্যাটে লাগলো না। ব্যাটের কানায় লেগে চলে গেলো প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের হাতে। আরও একবার ব্যর্থতার গ্লানি মাথায় নিয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন সৌম্য সরকার।
তার আগেই অবশ্য উইকেটের পতন ঘটিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু করতে না করতেই উইকেটটা হারিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইমরুল কায়েসও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে দারুণ ব্যাটিং করা ইমরুল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এসে হয়ে গেলেন বেশ নড়বড়ে। প্রথম ইনিংসেই দেখা গিয়েছিল তার আত্মবিশ্বাসহীন ব্যাটিং। ৪৪ রান করলেও কয়েকবার বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। পা ছিল টলটলায়মান। সেই অবস্থা দ্বিতীয় ইনিংসেও। এবার আর জীবন পাননি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারিয়ে বসেন তিনি। ক্যারিবীয় স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। অফ সাইডে পড়ে বল সোজা ঢুকে পড়ে ইমরুলের ব্যাট এবং প্যাডের ফাঁকে। সেখানেও বাধার সৃষ্টি করতে পারেননি বাংলাদেশের এই ওপেনার। বল গিয়ে সোজা আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। বোল্ড হয়ে যান ইমরুল। রান করেন তিনি তখন মাত্র ২টি। দলীয় রান ছিল তখন ১৩। রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ২ উইকেট হারিয়ে ৫.২ ওভারে ২৬। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের লিড ১০৪ রান। মুমিনুল হক ৮ এবং মোহাম্মদ মিঠুন ৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।