অস্ত্রোপচার ও রিং পড়ানো ছাড়াই গত দশ বছরে ৩০ হাজারের বেশি হৃদরোগীকে ‘সাওল’ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দিয়ে পুরোপুরি সুস্থ রেখেছে হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃত ‘সাওল হার্ট সেন্টার বাংলাদেশ’। বুধবার রাজধানীর ইস্কাটনের সাওল হার্ট সেন্টার আয়োজিত প্রতিষ্ঠানটির দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে সাওল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কনসালটেন্ট সার্জন জেনারেল বিজয় কুমার সরকার বলেন, একজন ডাক্তার হিসেবে আমি এই চিকিৎসা পদ্ধতির জনক আমেরিকার কিংবদন্তি চিকিৎসক ডা. ডিন অর্নিশের ‘রিভার্সাল হার্ট ডিজিস’ বইটি পড়ে নিজে কনভিন্স হয়ে এই পদ্ধতির একজন সমর্থক হয়েছি এবং বাংলাদেশে হৃদরোগ চিকিৎসার পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা সাওল আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছি। আমি সবাইকে আহ্বান জানাই আপনারাও এগিয়ে আসুন মানবতার সেবায়। তিনি জেডএইচ শিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল এবং ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের সাবেক অধ্যক্ষ।
ঢাকায় সাওলের বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা কবি মোহন রায়হান বলেন, সাওল চিকিৎসা পদ্ধতি বাংলাদেশে চালু ও গ্রহণযোগ্য করে তোলা ছিল বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমরা সেই চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হয়েছি। ৩০ হাজারের বেশি হার্টের রোগীকে আমরা সাওল পদ্ধতিতে গত দশ বছরে সুস্থ্য রেখেছি। আমরা বিনা তেলে খাবারের ‘অয়েল ফ্রি কিচেন’ ও ক্যাফে প্রতিষ্ঠা করে স্বাস্থ্যসম্মত ও সুস্বাদু খাবারের হোমডেলিভারী এবং ক্যাটারিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। হার্ট, ইয়োগা, ডায়েটের ফ্রি সেমিনার আয়োজন করে এবং মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে সুস্থ রাখার সামাজিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এই মানবিক আন্দোলনে আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, সাওল হার্ট সেন্টার বাংলাদেশের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এমএম রহমান, চট্টগ্রাম শাখায় কনসালটেন্ট ডা. ফারহান আহমেদ ইমন এবং প্রফেসর ডা. মাহমুদুল হক চৌধুরী।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন- সাবেক যুগ্ম-সচিব (আরবান-হেলথ কেয়ার প্রজক্ট) আব্দুল হাকিম মজুমদার, ড. লৎফা সেন রোজি, সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম মনি প্রমুখ।