আজ বিকেলে রাজধানীতে ফেরার পথে টুঙ্গীপাড়ায় তাঁর পৈত্রিক নিবাস থেকে উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে রাখা হেলিকপ্টার পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা পায়ে হেঁটেই পাড়ি দেন তিনি। ছোট বোন শেখ রেহানাও এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন। আকস্মিক হেঁটে যাওয়া দেখে তাঁর নিরাপত্তা রক্ষী, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ যারপরনাই বিস্মিত হন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থল এবং তাঁর প্রৈত্রিক নিবাস টুঙ্গীপাড়ায় এলে শেখ হাসিনা যেন শৈশবের সোনাঝরা দিনগুলোর মাঝে হারিয়ে যেতে চান। প্রটোকল আর বিধি-নিষেধের বেড়াজালটি যেন বার বারই ছিন্ন করে জনগণের নেত্রী মিশে যেতে চান জনতার কাতারে। আর সে কারণেই এখানে এসে এর আগে নাতি-পুতিদের নিয়ে রিকশা ভ্যানেও চড়েছিলেন বিশ্ব মানবতার জননী উপাধিতে ভূষিত বঙ্গবন্ধু কন্যা।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স থেকে বের হয়েই তাঁর সঙ্গে থাকা সরকারি কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তায় নিয়েজিতদের উদ্দেশ্যে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে গাড়ির কোন প্রয়োজন নেই এইটুকু পথতো হেঁটেই যাওয়া যায়।’ শেখ রেহানাকে নিয়ে ততক্ষণে হাঁটা ধরেছেন তিনি। অগত্যা বিস্ময়ের ঘোর কাটতে না কাটতেই সকলকে তাঁর পিছু নিতে হলো। অথচ গত সেপ্টেম্বরেই কি না ৭২ বছরে পদার্পণ করেছন প্রধানমন্ত্রী।