মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের চেম্বারজজ আদালত আবেদনটির শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে এই আদেশ দেন।
ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে করা দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের দেয়া চার বছর দণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার আপিল (লিভ টু আপিল) আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ১৩ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন চেম্বারজজ আদালত।
আদালতে নাজমুল হুদার আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তিনি লিভ টু আপিল দায়ের করেছেন। একইসঙ্গে, জামিন আবেদনও করেছেন।
আপিল বিভাগের চেম্বারজজ ১৩ জানুয়ারি আবেদনের শুনানির জন্য তা পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন।
গত ৬ জানুয়ারি এ মামলায় আত্মসমর্পণের পর নাজমুল হুদাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২-এর বিচারক এইচ এম রুহুল ইমরান। এরপর কারাগারে থাকা নাজমুল হুদর জামিনসহ আপিল আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
এর আগে নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘খবরের অন্তরালে’র জন্য মীর জাহের হোসেনের কাছ থেকে দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদা।
২০০৭ সালের ২৭ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মামলাটির রায়ে নাজমুল হুদাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করেন। তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ তাদের খালাস দেন হাইকোর্ট।
পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনও খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। এরপর হাইকোর্টে এ মামলার পুনঃশুনানি নেয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশে পুনঃশুনানির পর ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে নাজমুল হুদার সাজা কমিয়ে চারবছর কারাদণ্ড দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।