পার্টিতে টাকা দিয়ে কত সহজে ছাত্রীদের বিছানায় যেতে রাজি করানো যায়, সেই নিরিখে দেশে মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে মাপতে চেয়েছিল একটি জাপানি ট্যাবলয়েড ‘স্পা!’ তার জন্য পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। আর তার পর দেশের মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ‘র্যাঙ্কিং’ করে তা ছাপা হয়েছিল রসালো গল্প আর চটকদার ছবির সঙ্গে। ২৫ ডিসেম্বরের সংখ্যায়। তাতে এই ‘প্রথা’র নাম দেওয়া হয়েছিল ‘গ্যারানোমি’। নিউজ স্ট্যান্ডে সেই ‘স্পা!’-এর পা পড়তে না পড়তেই তা কেনার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্ট্যান্ড থেকে সাবাড় হয়ে যায় ‘স্পা!’র কপি।
তা দেখে প্রতিবাদ করেন এক জাপানি মহিলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্পা!’র ওই ইস্যুর তীব্র নিন্দা করে পোস্ট করেন তিনি। ক্ষমা চাইতে বলেন ওই ট্যাবলয়েডের প্রকাশককে। নিউজ স্ট্যান্ড থেকে তাদের সবক’টি ট্যাবলয়েড যত তাড়াতাড়ি সরিয়ে নেওয়ারও দাবি জানান তিনি ‘স্পা!’ কর্তৃপক্ষের কাছে।
ওই মহিলার অভিযোগ, ট্যাবলয়েডটি মহিলাদের ‘অসম্মান করেছেন। মহিলাদের যৌন পণ্য করে তুলেছেন।’ তার প্রেক্ষিতে ‘স্পা!’-র ওই ইস্যুটি নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার জেরেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন ‘স্পা!’ কর্তৃপক্ষ।