আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ জানান, দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে তারা আবদুর রহিম (২৪) নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
রহিম পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পিপুলিয়া গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে। নিহত পোশাক শ্রমিকের সহকর্মী তিনি। তাদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে বলে পরিবার জানিয়েছে।
নিহত পোশাক শ্রমিকের (১৬) বরাতে তার মা বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার গোরাট এলাকার পোশাক কারখানা থেকে ছুটির পর তার মেয়েকে কৌশলে পাশের রূপায়ণ আবাসন প্রকল্পের নির্জন মাঠে নিয়ে যান রহিম।
“রহিম, তার সঙ্গী একই কারখানার লাইন চিফ রিপন ও ক্যান্টিন মালিক শিপনসহ চারজন আমার মেয়েকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গভীর রাতে অসুস্থ অবস্থায় মেয়ে বাসায় এসে বিস্তারিত জানায়।”
একদিন পর সোমবার ভোরে তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নরসিংহপুর এলাকায় নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে তিনি জানান।
এর আগে রোববার আশুলিয়া থানায় রহিম, রিপন ও শিপনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষিত ওই পোশাক শ্রমিক থানায় অভিযোগ দেন বলে তার মা জানান।
এছাড়া পোশাক শ্রমিকের বাবা বলছেন, “শনিবার রাতে মেয়ে ফোন করে বলেছিল, ‘টাকা পাঠাও। আমাকে আটকে রেখেছে।’ পরে রাতেই মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় বাসায় আসলে বিস্তারিত জানতে পারি।”
তিনি তার মেয়ে হত্যার উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন।
নিহত শ্রমিকের এক খালাত বোন বলেন, আটক রহিম তাদের আত্মীয়। রহিম বিবাহিত।
“তবু সে আমার ওই বোনের সঙ্গে প্রেমের মিথ্যে সম্পর্ক করেছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে সে রহিমের কাছ থেকে দূরে সরে যায়। এর জেরে রহিম তাকে ডেকে নেয়। পরে সঙ্গীদের নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে মৃত্যুর আগে সে আমাদের জানিয়েছে।”
পরিদর্শক জাবেদ বলেন, হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
“এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রহিমকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।”