সরকারকে বোঝাতে ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কূটনীতিকদের ঐক্যফ্রন্ট জানিয়েছে, সরকারের আগ্রাসনের জন্য দেশের জনগণ আকাঙ্ক্ষিত নির্বাচন পায়নি। দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পুনর্নির্বাচন দিতে ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে বিদেশি কূটনীতিকদের গঠনমূলক ভূমিকা রাখতেও অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও মিশনের কূটনীতিকদের ব্রিফ করে ঐক্যফ্রন্ট। ব্রিফ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা পুনর্নির্বাচন দাবি করেছি। আমরা নির্বাচন নিয়ে কূটনীতিকদের যা বলেছি, তারাও একই জিনিস দেখেছে বলেই আমরা মনে করছি। সব রাষ্ট্র আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। তারা সব সময় চায় দেশের মানুষের মঙ্গল হোক, আইনের শাসন থাকুক। নির্বাচন ভালোমতো হলে সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যেত। তাই আমরা বলেছি, যা হয়েছে হয়েছে, একটি ভালো নির্বাচন দিয়ে মানুষকে সুন্দর সমাজ গড়ার সুযোগ দিন।’
কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। হোটেল আমারি, বনানী, ঢাকা, ৬ জানুয়ারি। ছবি: দীপু মালাকার আরেকটি নির্বাচন দিতে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতে ঐক্যফ্রন্ট কূটনীতিকদের অনুরোধ জানিয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘বিদেশিরা গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারে। চাপ না হলেও যুক্তি দিয়ে সরকারকে বোঝাতে পারে। আরেকটি নির্বাচন দিয়ে তার ফলাফলের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার দেশে থাকুক। সেই সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করুক। দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে, সরকারের জন্যই আরেকটি নির্বাচন দরকার।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন কেন্দ্রের অনিয়মের তথ্য ভিডিও সিডি করে বিদেশিদের দেওয়া হয়েছে। বিদেশিরাও বলেছে, নির্বাচনটি ফেয়ার (সুষ্ঠু) হয়নি। ঐক্যফ্রন্টের সংসদ সদস্যদের শপথের বিষয়টি আলোচনায় আছে বলে কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে।’