একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে দলের সভানেত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এবং শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত চিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, মোজাফফর হোসেন পল্টু ও এডভেকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, আবদুল মতিন খসরু ও আবদুল মান্নান খান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও সালমান এফ রহমান, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এ এফ এম বাহাউদ্দিন নাসিম ও বি এম মোজাম্মেল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, হারুনুর রশিদ, দেলওয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, আকতারুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন ও শাহাবুদ্দিন ফারাজী অন্যান্যেরা।
পরে, দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলের সহযোগী সংগঠনসমূহ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী এরপর শেখ রেহানা ও সায়মা হোসেন পুতুলসহ বনানী কবরস্থানে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে তিনি ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি জাতীয় তিন নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জাতীয় এই চার নেতা ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে নিহত হন।