শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখিতায় গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে (২৩-২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।
২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে গত সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়। তবে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসই শেয়ারবাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে দুই শতাংশের ওপরে। অন্য দু’টি সূচকেরও বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল তিন লাখ ৮০ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ছয় হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২০ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা দুই দশমিক ২৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১৪ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা দশমিক ২৭ শতাংশ।
অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা দুই দশমিক ১০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে এক দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে ২৩ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৯৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে দুই দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা দশমিক ২১ শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ২১০টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছে ১১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির দাম।
এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪০৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৭৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩২ কোটি ৫ লাখ টাকা বা ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৩৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় এক হাজার ৫০৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১২৮ কোটি ২০ লাখ টাকা বা আট দশমিক ৪৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৬ দশমিক ৯৪ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি চার দশমিক ৭৭ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, পাঁচ দশমিক ৪২ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং দুই দশমিক ৮৭ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানির শেয়ার। কোম্পানিটির ৬২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের তিন দশমিক ৮১ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৯ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের তিন দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ। ৪০ কোটি ২৫ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো), প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, জেএমআই সিরিঞ্জ, ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স, ইফাদ অটোস এবং বিডিকম অনলাইন।