শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের ঘরে আছে তিন তিনটি ট্রফি। বসুন্ধরা কিংসের অভিজ্ঞতা, শুধুমাত্র একটি ফাইনাল খেলা। এ মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠে তারা হেরেছে আবাহনীর কাছে।
অভিজ্ঞতার বিষয়টি বাদ দিয়ে যদি দুই দলের শক্তি বিবেচনায় আনা হয় তাহলে এগিয়ে থাকবে বসুন্ধরা কিংস। শক্তি আর ঐতিহ্য বুধবার মুখোমুখি হচ্ছে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ফাইনালে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনাল শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৪ টায়।
স্বাধীনতা কাপের ফাইনালের মধ্য দিয়ে ঘরোয়া ফুটবল বিদায় জানাবে ২০১৮ সালকে। এ মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু হবে নতুন বছরে ২০১৯ সালে। ট্রফি জিতে কারা বছর শেষ করবে? শেখ রাসেল, নাকি বসুন্ধরা কিংস? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে বুধবার বিকেলে চোখ রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে।
৩৩ দিন আগে হোম অব ফুটবলেই ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর মুখোমুখি হয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। ঘটনাবহুল ওই ম্যাচে অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্যের কাছে হেরেছিল নবশক্তির বসুন্ধরা। পিঠাপিঠি দুটি ফাইনালে ব্যর্থ হতে রাজী নয় নবাগত দলটি। স্বাধীনতা কাপ জিতে ক্লাবের নামের পাশে লিখতে চায় প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন শব্দটি। প্রথম আসরেই তারা ঘরে নিতে চায় একটি ট্রফি।
মঙ্গলবার বাফুফে ভবনে ফাইনালপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিস কোচ অস্কার ব্রুজেন বলেছেন, ‘বসুন্ধরা কিংসকে আমরা প্রথম ট্রফি উপহার দিতে চাই। এ জন্য প্রয়োজন মাঠে ভালো খেলা। ভালো খেলার সামর্থ্য আছে আমার দলের।’
শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেছেন, ‘গ্রুপ পর্বটা আমাদের জন্য কঠিন ছিল। তাতে একটা সুবিধাই হয়েছে। শেখ জামাল ও বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে খেলে এসেছি। তখন আমরা কোনো গোল করতে পারিনি। তবে কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল আমরা ২ গোলে জিতেছি। আমাদের স্কোরিংয়ে যে সমস্যা ছিল তা দূর হয়েছে। তবে এটা ফাইনাল। ফাইনালে শুধু ওঠার জন্যই ওঠা নয়, জেতার জন্য।’
শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের গোলরক্ষক ও অধিনায়ক আশরাফুল ইসলাম রানা বলেছেন, ‘ফাইনালটা জমজমাট হবে। সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। যারা সেটা পারবে তাদের জন্য জয়ের মুখটা খুলে যাবে।’
বসুন্ধরা কিংসের মিডফিল্ডার ইমন মাহমুদ বাবু বলেছেন, ‘আমরা সবার মন জয় করেই ফাইনালে উঠেছি। ফাইনাল জেতার সব প্রস্তুতি আমাদের আছে। আমরা ফাইনালের জন্য প্রস্তুত।’