শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

প্লাস্টিক পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার

একুশে নিউজ
  • প্রকাশিত সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৩২
  • ২৯১ এই সময়
  • শেয়ার করুন

দেশে ক্রমেই বাড়ছে প্লাস্টিক পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার। অভ্যন্তরীণ বিপুল চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে এই খাতের রফতানিও দ্রুত সম্প্রসারণ হচ্ছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে প্লাস্টিক পণ্য বিক্রয় থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৪ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার। যা বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একইসময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি।

চলতি অর্থবছরে প্লাস্টিক পণ্য থেকে দশ কোটি ডলারের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) তথ্যমতে, প্লাস্টিক পণ্যের এক ট্রিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক বা বৈশ্বিক বাজার রয়েছে।

এই বিশাল বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে রফতানি আয় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্লাস্টিক পণ্য থেকে ৯ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের রফতানি আয় হয়েছে। ওই বছরের প্রথম ৫ মাসে এই খাতের রফতানি আয় ছিল ৩ কোটি ৭৪ লাখ ডলার।

প্লাস্টিক পণ্যের পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে এক কোটি ২১ লাখ ডলারের প্লাস্টিক বর্জ্য রফতানি হয়েছে।

বিপিজিএমইএ সভাপতি ও বেঙ্গল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন একুশে মিউজকে বলেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, স্পেন, কানাডাসহ বিশ্বের ২৩ দেশে সরাসরি যাচ্ছে বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য।গৃহসজ্জা থেকে অটোমোবাইল, চিকিৎসার সরঞ্জাম কিংবা রফতানিমুখী শিল্পের আনুষঙ্গিক সব পণ্য প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে।

নজর কাড়ছে প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি প্লাস্টিকের বাহারি খেলনাও। প্রতিনিয়ত বৈশ্বিক বাজারে আমাদের পণ্যের রফতানি বাড়ছে কিন্তু পুরোপুরি বাজার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘এক ট্রিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশী প্লাস্টিক পণ্যের অংশগ্রহণ বাড়াতে এই খাতে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন।’

বিপিজিএমইএ’র তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ছোট-বড় মিলে ৫ হাজার কারখানায় প্রায় ১৫ ক্যাটাগরিতে পণ্য উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে পোশাক খাতের জন্য পলিব্যাগ, হ্যাঙ্গার, প্লাস্টিক ক্লিপ, বোতাম, খেলনা সামগ্রীর মধ্যে পুতুল, বল, গৃহে ব্যবহারের জন্য চেয়ার, টেবিল, ডাইনিং টেবিল, বিভিন্ন ধরনের রেক, ঝুড়ি, বাথটাব, জগ, মগ, ঝুড়ি; অফিসে ব্যবহারের জন্য পেপারওয়েট, স্কেল, টেবিল, বলপেন, ফাইল কভার অন্যতম। কৃষি খাতের জন্য পাইপ, সাইকেলের যন্ত্রাংশের মধ্যে বাম্পার, হাতলের কভার, ব্যাক লাইট, স্পোক লাইট, মাছ ও ডিম রাখার ঝুড়ি, ভিডিও ও অডিও ক্যাসেট, কম্পিউটারের উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরি হচ্ছে।

জসিম উদ্দিন জানান,বর্তমানে ২০টি বড় প্রতিষ্ঠান বিদেশে প্লাস্টিক পণ্য রফতানি করছে। আর দেশে বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘রফতানিতে নগদ প্রণোদনার শর্ত শিথিল এবং নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তি সহজ হলে এই খাতে বিনিয়োগ বাড়বে। আর পোশাক শিল্পের মতো আনুকূল্য পেলে প্লাস্টিক পণ্য দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি খাতে পরিণত হবে।’

এই বিভাগের আরো খবর

ব্রেকিং:

আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা পাকিস্তানের

১৭ জেলায় হতে পারে ৬০ কিমি বেগে ঝড়, সতর্ক সংকেত

সরকারি হাসপাতালগুলোতে আছে রাসেল’স ভাইপারের এন্টিভেনম

বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে, কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণের শঙ্কা

শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অচল ৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

স্ত্রীকে ফেসবুক থেকে দূরে রাখা নিষ্ঠুরতার শামিল

রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে এটিইউ

ধনী কর্মকর্তাদের সম্পদের উৎসের খোঁজ শুরু করছে দুদক

টি-২০ বিশ্বকাপে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরার পুরস্কার পেলেন যারা

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব বিশেষ নির্দেশনা