আজ আমরা জাতি হিসেবে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছি ? যারা গণতন্ত্র পুনঃদ্ধারের কথা বলে, দেশের মুক্তির কথা বলে, তারা তাদের স্বার্থের জন্য দেশের সাধারণ জনগণকে ধোঁকা দিয়ে মিথ্যের জ্বালে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তারা হয়তো ভুলে গিয়েছে, বাঙালী এখন আর সেই আগের বাঙালী নেই। মন ভুলানো, মিথ্যে কথা দিয়ে মিডিয়ার সামনে নিজেকে লিডার হিসেবে উপস্থাপন করা যায়, কিন্তু ভোট পাওয়া যায় না।
ক্ষমতার লোভে তাদের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেয়েছে। বাংলাদেশি হয়ে উর্দু বলে সাংবাদিককে “খামোশ” বলে চুপ করিয়ে রাখে, তারাই আবার মিডিয়ার স্বাধীনতার কথা বলে।
ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা আর যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে জোট করে তাদের নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখা এক নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে নির্বাচন করে ক্ষমতায় গিয়ে কোন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে? জাতির সামনে প্রশ্ন থেকে যায়।
জনগণ পাকিস্তানের প্রেত আত্মাকে আবার ক্ষমতায় বসানোর ভুল করবে না।
যারা যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে চায়, তারা যে, বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানাবে তা তাদের কথা থেকেই বোঝা যায়।
তাদের জোট চলে সেই লন্ডনের অদৃশ্য ইশারায়। আমাদের ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত, ২ লক্ষ মা-বোন এর সন্মানের বিনিময়ে যে দেশ আমরা পেয়েছি। তারা স্বার্থের জন্য হয়ত ভুলে গিয়েছে, জনগণ ভুলে যায়নি।
তারা সেই পরাজিত শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে, দফায় দফায় পাকিস্তানের আইএসআই এর সাথে বৈঠক করে। এটা কিসের ইঙ্গিত?
আবারোও সেই হাওয়া ভবনের চাঁদাবাজি, দেশের টাকা আত্মসাৎ করার প্রচেষ্টা!
নিষিদ্ধ জামায়াতকে ভোটে রেখে কোন ধরনের গনতন্ত্র তা জাতির সামনে পরিস্কার নয়। ২১শে আগস্টের হত্যাকারীদের, সেই আগুনসন্ত্রাসীদের, জঙ্গিদের, নমিনেশন দেয়া আর যাই হোক বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলকর কোন আলামত নয়।
বাংলাদেশের জনগণ উন্নয়নের স্বার্থে থাকবে, কোনো প্রেত আত্মার স্বার্থে নয়।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কথা সমস্ত বাঙ্গালীর আত্মার কথা। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বার্থের কথা বলে গিয়েছেন। আমাদের উন্নয়নের কথা বলে গিয়েছেন। আজকের বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জন্য।
আমরা যেন ভুলে না যাই, যারা নিজেদের স্বার্থের জন্য সেই হাওয়া ভবনের লুটেরা চাঁদাবাজ, এতিমের টাকা আত্মসাৎকারি, যুদ্ধাপরাধী, মানুষ হত্যাকারীদেরকে ক্ষমতায় বসানোর পাঁয়তারা করছে, তারা ক্ষমতায় আসতে পারলে আপনার আমার বুকের উপর পা রেখে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাবে। গড়বে অবৈধ সম্পদের পাহাড়। দেশ সেবা উঠানো থাকবে শিঁকেয়।
অন্যায়ের সাথে আর নয় আঁতাত। আমরা পাকিস্তানের আদলে বাংলাদেশ চাই না।
কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়
১। যুদ্ধাপরাধীদের নমিনেশন, কোন ধরণের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার অঙ্গিকার?
২। “খামোশ” বলে, কোন ধরণের মিডিয়ার স্বাধীনতার অঙ্গীকার?
৩। যারা চিহ্নিত অপরাধী তাদের আত্মীয়দের নমিনেশন দিয়ে, কোন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকার?
৪। যারা জনগণকে আগুন দিয়ে পুরিয়েছে, সেই তাদেরকে নমিনেশন দিয়ে, কোন ধরণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকার?