একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ফেনী-১ এবং বগুড়া ৬ ও ৭ আসনের জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আনা রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এর ফলে বেগম খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ গত কাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়। এর আগে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা রিট আবেদনের ওপর গত ১১ ডিসেম্বর দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেয় বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করে। বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির এ আদেশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।
এরপর নিয়ম অনুসারে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠালে তিনি একক তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে দেয়।
এ আদালতের প্রতি অনাস্থা জানায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। গত কাল মঙ্গলবার অনাস্থার আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
গত কাল আদেশের পর এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের জানান, তৃতীয় বিচারকের রায়ই চূড়ান্ত। আর যেহেতু রিটটি সরাসরি খারিজ করেছেন তৃতীয় বিচারক, তাই খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৃথক তিনটি রিট করা হয়। গত ৮ ডিসেম্বর প্রার্থিতা ফিরে পেতে পৃথক মামলায় দন্ডিত হয়ে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার করা আপিল নামঞ্জুর করে দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে গত ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। পরে তাদের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।