এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে একটি ‘বিনিময় নোট ও একটি অনুদান সহায়তা চুক্তি’ সোমবার স্বাক্ষরিত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে এ অনুদান ছাড়াও বাংলাদেশে গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষার মানোন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতিও জাপান সরবরাহ করবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
‘বিনিময় নোট’ এই সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ ও বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদুত হিরোইয়াসো ইজুমি। অনুদান চুক্তিতে জাপানের পক্ষে সই করেন ঢাকায় জাইকার প্রতিনিধি হিতুসি হিরাতা।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে চলমান চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) প্রকল্পে জাইকার এ অনুদানের অর্থ ব্যবহার করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল মেয়াদে কর্মসূচীটি বাস্তবায়ন করছে। এ কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে ৪৪ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নিয়ে পিইডিপি -৪ বাস্তবায়ন করছে সরকার। এ ব্যয়ের ৩১ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা জোগান দেওয়া হচ্ছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। আর উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এ কর্মসূচির জন্য ১২ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
জাইকা ছাড়াও পিইডিপি-৪ কর্মসূচিতে বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি), অস্ট্রেলিয়ান এইড, কানাডিয়ান সিডা, সুইডিশ সিডা এবং ইউনিসেফ অর্থায়ন করছে।