প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদ করে একটা ইনোভেশান অ্যান্ড এন্টারপেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ অডিটোরিয়ামে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন আয়োজিত বাজেট অলম্পিয়াড ২০১৮ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, ড. প্রীতম পাল মজুমদার, গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সহ-সভাপতি আসগর আলী সাব্বির, গবেষণা সম্পাদক মনোয়ার মোস্তফা, ড. এ কে এম নজরুল প্রমুখ।
তিনি বলেন, এ ল্যাবে তরুণরা উদ্যোক্তা হবে। তারা শুধু চাকরির পেছনে ছুটবে তা নয়। তারা এক একজন উদ্যোক্তা হবে। তারা চাকরি দেবে। নেয়ার জন্য অত উৎসাহী হবে না। কাজেই প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়কে ইনোভেশন ল্যাব ইনোভেশন কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। তারা এ অর্থ কোথায় পাবে? এ অর্থ আসতে হবে একটা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে।
শুধু সরকার কেন একা দেবে ফান্ডে আমাদের ব্যক্তিখাতের সিএসআর যুক্ত হতে পারে। অধ্যাপক আতিউর আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন উৎক্ষেপণ পর্যায়ে রয়েছে। দেশের বাজারের চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে শিল্পখাতের বিকাশ ও এজন্য প্রয়োজনীয় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করা।
জাতীয় বাজেটে কী ধরনের প্রকল্প কতগুলো বরাদ্দ রাখা গেলে মধ্যম থেকে দীর্ঘমেয়াদী এ বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, ব্যক্তিখাতের অংশীজন সর্বোপরী তরুণদের মতামত আলোচনা পর্যালোচনায় উঠে আসা দরকার। তিনি বলেন, নাগরিকদের পক্ষ থেকে বাজেট পর্যালোচনায় তরুণদের জন্য যথেষ্ট কর্মসংস্থান এবং তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির বিষয়গুলো আলাদা গুরুত্বের দাবি রাখে।
জাতীয় বাজেটে কী ধরনের প্রকল্প, কর্মসূচি বা উৎসবের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা গেলে সেগুলো কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়ক হবে তা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।