শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন

বেড়েছে মুরগি, ডিম ও সবজির দাম

একুশে প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত সময় : ১০ মে, ২০২৪, ৩:৪১
  • ৯০ এই সময়
  • শেয়ার করুন

সারা দেশে মাসখানেক ধরে চলা দাবদাহে খামারিদের মুরগি মারা যাওয়ায় বাজারে মুরগি ও ডিমের সরবরাহ কমেছে। এতে মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে প্রচণ্ড গরমে কৃষকের ক্ষেতের সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সরবরাহ কমে বাজারে দাম বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা জানান, এখন বাজারে মুরগি, ডিম ও সবজির সরবরাহ কম। এ কারণে তিনটি নিত্যপণ্যেরই দাম বাড়তি।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউনহল ও ঢাকা উদ্যানে কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারগুলোতে ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজনে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ডজনপ্রতি ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে সোনালি মুরগির দাম না বাড়লেও গত সপ্তাহে কেজিতে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৩৭০ থেকে ৪০০ টাকায় উঠে যায়।

এখনো বাজারে আগের বাড়তি দামেই সোনালি মুরগি বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের ডিম বিক্রেতা নিজাম উদ্দিন একুশে নিউজকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়। এখন পাইকারিতে দাম বাড়ার কারণে খুচরায় প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি করছি।

গত সপ্তাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ডিমের চাহিদা কম ছিল, তাই দামও কম ছিল। এখন আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হওয়ায় ডিমের চাহিদা বাড়লেও বাজারে সরবরাহ কম। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।’

বাংলাদেশ এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘মূলত উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। ডিমের সরবরাহ কম থাকলে বাজারে এমনিতেই দাম বাড়তি থাকে। খামারিরা উৎপাদনে ফিরতে পারলে ডিমের দাম আবার কমে আসবে।’

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের মেসার্স মা আয়েশা ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির দাম বাড়লেও ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত ছিল। এবার ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মূলত খামারে মুরগি কমে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে দাম বাড়তি।’

রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা টিসিবির দৈনিক বাজারদর প্রতিবেদনেও মুরগি ও ডিমের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি দেখা যায়। গতকালের বাজারদরের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়। ফার্মের মুরগির প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) গত বছরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সাধারণত প্রতিদিন চার কোটি ডিম উৎপন্ন হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, উৎপাদনের পরিমাণ আরেকটু বেশি।

পেঁপে ৭০ টাকা কেজি

রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সরবরাহ কমার অজুহাতে সব ধরনের সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। টমেটো ৫০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৭০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চালকুমড়া প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারের সবজি বিক্রেতা রিজওয়ান করিম বলেন, গত দুই সপ্তাহের প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে কৃষকের ক্ষেতের সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে ঢাকার বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কমেছে। মূলত এ কারণেই সবজির দাম বেড়েছে।

হিলিতে ওঠানামা করছে পেঁয়াজের দাম

ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খবরে রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দরে কোনো প্রভাব নেই। আগের বাড়তি দামেই দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি ২৪০ টাকায় খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

আমদানি পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। তবে রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় বন্দরের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করেননি।

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর আমদানি হবে এমন খবরে বাংলাহিলি বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করেছে। গতকাল দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর এরই মধ্যে ২০ জন আমদানিকারক নতুন করে ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত সরকারের আরোপ করা ৪০ শতাংশ শুল্ক এখনো অব্যাহত আছে। ৪০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করলে পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হবে না। ৪০ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানিতে অতিরিক্ত ২৫ টাকা গুনতে হবে।

এই বিভাগের আরো খবর

ব্রেকিং:

আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা পাকিস্তানের

১৭ জেলায় হতে পারে ৬০ কিমি বেগে ঝড়, সতর্ক সংকেত

সরকারি হাসপাতালগুলোতে আছে রাসেল’স ভাইপারের এন্টিভেনম

বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে, কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণের শঙ্কা

শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অচল ৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

স্ত্রীকে ফেসবুক থেকে দূরে রাখা নিষ্ঠুরতার শামিল

রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে এটিইউ

ধনী কর্মকর্তাদের সম্পদের উৎসের খোঁজ শুরু করছে দুদক

টি-২০ বিশ্বকাপে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরার পুরস্কার পেলেন যারা

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব বিশেষ নির্দেশনা