শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:২১ অপরাহ্ন

তুরস্কে স্থানীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, ফলের অপেক্ষায়

আনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময় : ৩১ মার্চ, ২০২৪, ৫:৩১
  • ২৯ এই সময়
  • শেয়ার করুন

তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে হয়েছে। আজ রবিবার সকালে দেশব্যাপী পৌর নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে তা বিকাল ৫টায় শেষ হয়েছে। নির্বাচনে ইস্তাম্বুলের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় ফিরে পাওয়ার জন্য লড়ছে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের দল। ইস্তাম্বুলের বর্তমান মেয়র ও এরদোয়ানের দলের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগ্লু।

ইস্তাম্বুলের নিয়ন্ত্রণ রাখাকে তুরস্কের রাজনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিছুদিন আগে এরদোয়ান ঘোষণা দিয়ে ছিলেন, মার্চের স্থানীয় নির্বাচন হবে তার শেষ নির্বাচন। এরপর আর কোনো নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না।

এরদোয়ানের বক্তব্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়ে ছিল, ইস্তাম্বুলের মেয়র পদে জয়ী হতে এবার চেষ্টাটা ভালোভাবেই করবে একে পার্টি।

এরদোয়ান ও তার একে পার্টিকে ২০১৯ সালের ভোটে পরাজিত করেন ইস্তাম্বুলের বর্তমান মেয়র ইমামোগ্লু। এর মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকা দুই দশকের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ধাক্কার মুখোমুখি হন এরদোয়ান।

রবিবারের ভোট এখন ন্যাটোসদস্য তুরস্কের এরদোয়ানের নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করতে পারে, বা প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির বিভক্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে। ইমামোগ্লুর মধ্যেও জাতীয় নেতা হওয়ার প্রত্যাশা বেড়েছে।

পূর্ব তুরস্কে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোটকেন্দ্র খোলা হয়। অন্যত্র ভোটদান সকাল ৮টায় শুরু হয় এবং বিকাল ৫টায় শেষ হয়। প্রাথমিক ফলাফল রাত ১০টার মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভোটের মাঠ দেখে স্পষ্ট বুঝা গেছে ইস্তাম্বুল নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে শক্ত প্রতিযোগিতা হয়েছে। তুরস্কের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে ১ কোটি ৬০ লাখ বাসিন্দার এই শহরটি। এখানে মেয়র পদে ইমামোগ্লুর প্রতিদ্বন্দ্বী একে পার্টির প্রার্থী মুরাত কুরুম। তিনি একজন সাবেক মন্ত্রীও।

এরদোয়ানের প্রধান পুরস্কার ইস্তাম্বুল হলেও তিনি রাজধানী আঙ্কারার নিয়ন্ত্রণ চান। দুটি শহরই ২০১৯ সালে বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। দুটি শহরই গত ২৫ বছর ধরে একেপি ও ইসলামপন্থী পূর্বসূরিদের অধীনে ছিল।

২০১৯ সালে ইমামোগ্লুর সাফল্যের পেছেনে প্রধান কুর্দিপন্থী দলের ভোটারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাদের ডিইএম পার্টি এবার ইস্তাম্বুলে নিজস্ব প্রার্থী দিয়েছে। তবে অনেক কুর্দি দলীয় আনুগত্যকে একপাশে রেখে ইমামোগ্লুকে আবার ভোট দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধানত কুর্দি জঙ্গিদের সঙ্গে কথিত সম্পর্কের অভিযোগে পূর্ববর্তী নির্বাচনের পর রাজ্য কুর্দিপন্থী পার্টি মেয়রদের অনির্বাচিত করার পরে ডিইএম তার শক্তি পুনঃনিশ্চিত করতে চাইছে।

এরদোয়ানের বিরুদ্ধে কাজ করার একটি কারণ হল গাজা বিরোধের বিষয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কারণে ইসলামবাদী নিউ ওয়েলফেয়ার পার্টির সমর্থন বৃদ্ধি ও ইসলামপন্থী মূল একপির অর্থনীতি পরিচালনায় অসন্তোষ।

এই বিভাগের আরো খবর

ব্রেকিং:

আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা পাকিস্তানের

১৭ জেলায় হতে পারে ৬০ কিমি বেগে ঝড়, সতর্ক সংকেত

সরকারি হাসপাতালগুলোতে আছে রাসেল’স ভাইপারের এন্টিভেনম

বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে, কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণের শঙ্কা

শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অচল ৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

স্ত্রীকে ফেসবুক থেকে দূরে রাখা নিষ্ঠুরতার শামিল

রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে এটিইউ

ধনী কর্মকর্তাদের সম্পদের উৎসের খোঁজ শুরু করছে দুদক

টি-২০ বিশ্বকাপে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরার পুরস্কার পেলেন যারা

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব বিশেষ নির্দেশনা