বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হওয়া বোয়িংয়ের তৈরি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে হংসবলাকার বাণিজ্যিক ফ্লাইট।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ফিতা কেটে ‘হংসবলাকা’ উদ্বোধন করবেন। এরপর তিনি এই আকাশযানের অভ্যন্তরে ঘুরে দেখবেন।
জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০০৮ সালে মার্কিন আকাশযান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে। ১০টি বিমানের মধ্যে রয়েছে চারটি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। ‘গাঙচিল’ ও ‘রাজহংস’ নামের বাকি দুটি ড্রিমলাইন বহরে যুক্ত হবে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে।
ড্রিমলাইনারের আসন সংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। দু’পাশের প্রত্যেক আসনের পাশে রয়েছে বড় আকারের জানালা। একইসঙ্গে জানালার বোতাম টিপে আলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। জানালা ছাড়াও কেবিনেও রয়েছে মুড লাইট সিস্টেম।
টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম ড্রিমলাইনার চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগে। এটি ঘণ্টায় ৬৫০ কিলোমিটার বেগে উড়তে সক্ষম। বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হবে ইলেকট্রিক ফ্লাইট সিস্টেমে।
ভূমি থেকে বিমানটির উচ্চতা ৫৬ ফুট। দুটি পাখার আয়তন ১৯৭ ফুট। এর ককপিট থেকে টেল (লেজ) পর্যন্ত ২৩ লাখ যন্ত্রাংশ রয়েছে। প্রতিটি আসনের সামনে প্যানাসনিকের এলইডি এস-মনিটর রয়েছে। যাত্রাপথে সরাসরি ৯টি টিভি চ্যানেল দেখা যাবে। একইসঙ্গে ড্রিমলাইনারের ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমে (আইএফই) রয়েছে ১০০টির বেশি ক্ল্যাসিক থেকে ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র।
অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারে যাত্রীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য রয়েছে ওয়াইফাই সুবিধা। এছাড়া আকাশে উড্ডয়নের সময় ফোন কল করা যাবে।