শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন

তদন্তের চাপে সোজা কর্মকর্তারা

আনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময় : ২৪ মে, ২০২৩, ১০:৩৭
  • ৫১ এই সময়
  • শেয়ার করুন

তদন্তের চাপে অনেকটাই সোজা হয়ে গেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এমপিও প্রত্যাশীসহ বিভিন্ন কাজের সেবা প্রার্থীদের জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সেখানে কর্মরতদের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে গণমাধ্যমে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সরেজমিন প্রতিবেদন করে। এরপরই নড়েচড়ে বসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে মাউশির প্রধান কার্যালয়ের একটি দল তদন্তে নেমেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিমও ওই দপ্তরে হানা দেয়। ফলে গত ৩ মাস ধরে অনেকটাই স্বস্তিতে সেবা নিতে পারছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

গত সোম ও বুধবার সরেজমিনে কথা হয় কয়েকজন সেবা প্রার্থীর সঙ্গে। তারা জানান, এমপিওভুক্তির কাজে ঘুস বাণিজ্য আর হয়রানি অনেকটাই স্বাভাবিক ঘটনা। মাউশির ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয় আছে। সর্বত্রই দুর্নীতিবাজ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর কয়েক দিন পরিবেশ স্বাভাবিক থাকে। পরে ফের আগের চেহারায় ফিরে যায়।

নতুন এমপিও সংক্রান্ত কাজে রবিবার ঢাকা আঞ্চলিক দপ্তরে কথা হয় গাজীপুর শ্রীপুর জুগির সিট উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষক সোহাইব হাসান সাকিবের সঙ্গে। তিনি জানান, গত জানুয়ারিতে নিয়োগের পর তিনি এমপিওর জন্য আবেদন করেন। আবেদন অসম্পূর্ণ থাকায় তা বাতিল হয়েছে। পরে গত এপ্রিলে ফের আবেদন করেছেন। তিনি জানান, এর আগে এসে তিনি উপ-পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। গেটে কর্মচারীরা আটকে দিতেন। কিন্তু এবারে বিনা বাধায় সরাসরি আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, প্রক্রিয়াধীন আবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি হবে।

মাউশিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মার্চ মাসে বিভিন্ন ধরনের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার আবেদন পড়ে ছিল। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ২২৩৭টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়। ওই আবেদন এমপিও প্রক্রিয়া নিয়েই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হয়ে ছিল। এরপর এমপিও প্রক্রিয়া চলতি দফায় চলছে। এবারে মোট আবেদন পড়েছে ২৫৭৯টি। আর নিষ্পত্তি হয়েছে ২০২৮টি। অর্থাৎ মাউশির প্রধান কার্যালয় এবং দুদকের তৎপরতার কারণে আবেদন নিষ্পত্তির হার বেড়েছে।

জানতে চাইলে উপ-পরিচালক (ডিডি) এএসএম আব্দুল খালেক বলেন, ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে তিনি গত ২৪ জানুয়ারি যোগদান করেন। এরপর এখন পর্যন্ত দুটি সার্কেলে (প্রতি বিজোড় মাসে) এমপিও’র কাজ তিনি নিষ্পত্তি করেছেন। সম্প্রতি যে অভিযোগ উঠেছে সেটির ব্যাপারে তিনি সচেতন ছিলেন না। কেননা নতুন হওয়ায় দপ্তরের সবাই চিনে উঠতে পারেনি। তবে বর্তমানে আবেদনকারীরা সঠিক সময়ে যথাযথ সেবা পাচ্ছেন। প্রধান কার্যালয়ের তদারকি এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। কারো ব্যাপারে যে কোনো অভিযোগ তিনি সরাসরি তাকে জানানোর পরামর্শ দেন।

এই বিভাগের আরো খবর

ব্রেকিং:

আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা পাকিস্তানের

১৭ জেলায় হতে পারে ৬০ কিমি বেগে ঝড়, সতর্ক সংকেত

সরকারি হাসপাতালগুলোতে আছে রাসেল’স ভাইপারের এন্টিভেনম

বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে, কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণের শঙ্কা

শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অচল ৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

স্ত্রীকে ফেসবুক থেকে দূরে রাখা নিষ্ঠুরতার শামিল

রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে এটিইউ

ধনী কর্মকর্তাদের সম্পদের উৎসের খোঁজ শুরু করছে দুদক

টি-২০ বিশ্বকাপে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরার পুরস্কার পেলেন যারা

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব বিশেষ নির্দেশনা