“আমরা মনে করি, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সিইসি ও কতিপয় কমিশনারদের এই ধরনের বক্তব্য এক আশঙ্কাজনক অশনিসংকেত। তাদের ওইসব বক্তব্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও ভোট ডাকাতিতে উৎসাহিত করবে, ওইসব বক্তব্য অবৈধ শাসকগোষ্ঠীকেই উৎসাহ যোগাবে।”
নির্বাচন কমিশনারদের এ ধরনের বক্তব্য তাদের শপথ ভঙ্গের শামিল বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
“নোংরাভাবে সরকার নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করছে। এই কমিশন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সকল কার্য্ক্রম নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। সারাদেশে এখনো গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রশাসনকেও নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার কঠোরভাবে।”
রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম বিটিভিসহ কিছু বেসরকারি টেলিভিশন সরকারি দলের পক্ষে ‘নিলর্জ্জ মোসাহেবী’ ও ‘নগ্ন দালালি’ করছে বলে অভিযোগ তার।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এজেডএম জাহিদ হোসেন এবং তার নামে ফেইসবুকে কয়েকটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট চালানো হচ্ছে।
ফেইসবুকে তাদের কোনো অ্যাকাউন্ট নেই জানিয়ে রিজভী বলেন, “ফেইসবুক কর্তৃপক্ষকে বলব এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। থানায় আমি ডায়েরি করেছি।”
ঢাকা মহানগরের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ ভুঁইয়া ও যশোর-৬ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু বক্কর আবুকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী আটকের পর তা অস্বীকার করায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাদের জনসমক্ষে হাজির করার দাবি জানান রিজভী।
কিশোরগঞ্জের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলমের পক্ষে ভৈরবে শান্তিপূর্ণ উঠান বৈঠকে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা, ভৈরবে দলের নেতা রফিকুল ইসলামের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও কুলিয়ারচরের ওসমানপুর ইউনিয়ন সভাপতি শহিদুল্লাহর বাড়িতে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শরীফুল আলম, আবদুল আউয়াল খান, শাহিন শওকত, সুলতানা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।