শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন

হেমায়েতপুরে আকাশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

একুশে নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত সময় : ৪ মার্চ, ২০২৩, ২:১১
  • ৩৪৪ এই সময়
  • শেয়ার করুন

ঢাকার অদূরে সাভারের হেমায়েতপুরের ফুটপাতে হকার্স লীগের নাম ধরে ঐ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আকাশ মোল্লার বিরুদ্ধে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সে ফুটপাত থেকে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমে দিন ও রাতে চলে হাকার্স লীগ নেতার এই ভয়ানক চাঁদাবাজি। আকাশ মোল্লার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হেমায়েতপুর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এই চাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

হেমায়েতপুরের হকার্স লীগের অফিসে বসে এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আকাশ মোল্লা। দুই শিফটে ভাগ হয়ে হেমায়েতপুরের ফুটপাত থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। অথচ এ হকার্স লীগ আওয়ামী লীগের কোন অঙ্গ সংগঠন নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে হকার্স লীগের নাম দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এদের চাঁদাবাজির অনুমতি কে দিয়েছে? সাধারণ মানুষের মাঝে এই জিজ্ঞাসা। তবে এই সব ভুঁইফোড় লীগদের কারণেই আওয়ামীলীগের বদনাম হচ্ছে। আর এদের পৃষ্ঠপোষক স্থানীয় নেতারা।

অথচ এই হকার্স লীগের প্রতিটা প্রগ্রামে সাভারে থাকছে স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এদের জন্য হকার্স লীগ এতো ততপর। স্থানীয় প্রশাসনও নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

আকাশের চাঁদাবাজির ব্যাপারে আমরা স্থানীয় কাউন্সিলর ফকরুল আলম সমরকে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি। পরে তাকে সব যানিয়ে তার হোয়াটসআপ এসএমএস করা হয়। তাতেও সে কোন সারা দেননি।

একুশে নিউজের অনুসন্ধানী রিপোর্টে উঠে আসে আকাশ মোল্লার ভয়ানক চাঁদাবাজির তথ্য. জানা যায়, রাস্তার এপাশ ওপাশ প্রায় ৭০০ দোকান থেকে প্রতিদিন ২ থেকে আরাই লক্ষ টাকা চাঁদা তুলছে আকাশ বাহিনী। যা প্রতি মাসে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা।

আমাদের সাজানো এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দিয়ে আমরা আকাশের সাথে কথা বলাই। সে আমাদের একটি দোকান বসানোর জন্য প্রতিদিন ৩৫০ টাকার হিসেবে দেয়। তা হলো এরকম ২০০ টাকা তাদের, ১০০ টাকা যায়গায় মালিকের ও ৫০ টাকা প্রশাসনের. এ ভাবেই প্রতি দিন ৩৫০ টাকা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এ চাঁদাবাজ চক্রের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন আকাশ মোল্লা। হকার্স লীগের অফিসে বসে নিয়ন্ত্রণ করেন এ এলাকার চাঁদাবাজি।

আকাশ মোল্লা টেলিফোনে একুশে নিউজকে বলেন, আমি হেমায়েতপুরে চাঁদাবাজি করি কথাটা ঠিক নয়। তিনি বলেন, আপনি সরাসরি আসেন, আপনি দেখিয়ে দেন করা চাঁদাবাজি করে তাদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিব। সে আমাদের এইটুকু কথা বলেই ফোন কেটে দেয়। পরে বেশ কয়েকবার ফোন দিলে সে আর ফোন ধরেনি। খুদে বার্তা দিলেও আর সারা দেননি।

চাঁদাবাজির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে হেমায়েতপুর এলাকার একজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে একুশে নিউজকে বলেন, ওরা খুবই ভয়ংকর লোক। কোনোভাবে যদি নাম প্রকাশ করেন, তবে ওরা আমাকে মারধর করবে।

তবে হেমায়েতপুরের চাঁদাবাজি পেছন থেকে কে নিয়ন্ত্রণ করে তা সামনে নিয়ে আসতে পারবো পরের অনুসন্ধানী রিপোর্টে।

এই বিভাগের আরো খবর

ব্রেকিং:

আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা পাকিস্তানের

১৭ জেলায় হতে পারে ৬০ কিমি বেগে ঝড়, সতর্ক সংকেত

সরকারি হাসপাতালগুলোতে আছে রাসেল’স ভাইপারের এন্টিভেনম

বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে, কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণের শঙ্কা

শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অচল ৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

স্ত্রীকে ফেসবুক থেকে দূরে রাখা নিষ্ঠুরতার শামিল

রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে এটিইউ

ধনী কর্মকর্তাদের সম্পদের উৎসের খোঁজ শুরু করছে দুদক

টি-২০ বিশ্বকাপে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরার পুরস্কার পেলেন যারা

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব বিশেষ নির্দেশনা