শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন

ফারদিন স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন: র‍্যাব

একুশে নিউজ
  • প্রকাশিত সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৪২
  • ৮২ এই সময়
  • শেয়ার করুন

আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হতাশা ও টাকার জন্য স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন।

তিনি জানান, ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় র‌্যাব তার পারিবারিক সূত্র, অধিকতর তথ্য-প্রযুক্তির বিশ্লেষণ, সিসিটিভি ফুটেজসহ স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের আলোকে তদন্ত করে। এতে জানা যায়, ৪ নভেম্বর বিকেল ৩টায় ডেমরার কোনাপাড়ার নিজ বাসা থেকে পরীক্ষার কথা বলে বুয়েটের হলের উদ্দেশে বের হন ফারদিন।

বিকেল ৫টার দিকে তিনি সায়েন্স ল্যাব মোড়ে তার পরিচিত একজনের সঙ্গে দেখা করেন। পরে সেখান থেকে নীলক্ষেত, ধানমণ্ডিসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেন। এরপর সাতমসজিদ রোডে একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা করেন।

তিনি আরও জানান, রাত ৮টার তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেন। পরে তিনি রিকশায় রামপুরার উদ্দেশে যান। আনুমানিক রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি রিকশা থেকে নেমে কিছুক্ষণ রামপুরা ব্রিজ এলাকায় ঘোরাফেরা করেন। প্রযুক্তি বিশ্লেষণে দেখা যায়, পরে তিনি কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, বাবুবাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, পুরান ঢাকার জনসন রোড, গুলিস্তানের পাতাল মার্কেট এলাকায় যান।

তিনি জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যায়, রাত ২টার দিকে যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচা থেকে ফারদিনকে লেগুনায় উঠতে দেখা যায়। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে সুলতানা কামাল ব্রিজের অপর পাশে তারাব বিশ্বরোডের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লেগুনা থেকে নেমে যান ফারদিন। রাত আড়াইটার দিকে সুলতানা কামাল ব্রিজের তারাব প্রান্তে ফারদিনের অবস্থান ছিল। রাত আড়াইটার পর ওই ব্রিজের প্রায় মাঝখানে আসেন তিনি। এরপর ব্রিজের রেলিং পার হয়ে স্বেচ্ছায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেন ফারদিন। তখন তার মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। রাত ২টা ৫১ মিনিটে ফারদিনের হাতের ঘড়িতে পানি ঢুকে সেটি বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে আজ বুধবার বিকেলে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন-অর রশীদ বলেন, ফারদিন নুর পরশ আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা।

গত ৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বান্ধবী বুশরাকে বাসায় যাওয়ার জন্য এগিয়ে দেন ফারদিন। এর পর থেকেই নিখোঁজ হন তিনি। পরে ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা করে লাশ গুম করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা হয়।

এই বিভাগের আরো খবর

ব্রেকিং:

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আজ

বাজারে বেঁধে দেওয়া পণ্যের দামের ‘দেখা’ নেই

গাজায় নিহত আরও ৭৬, প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ৩২৫০০

ঈদে ট্রেন যাত্রার পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি শুরু

দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, সাগরেই ৩৬ হাজার

গাজায় বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা ‘অত্যধিক বেশি’: যুক্তরাষ্ট্র

পুরান ঢাকা সাংবাদিক ফোরাম এর আত্মপ্রকাশ

গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন: জয়

৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে রোমানিয়া

যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় ধসে পড়েছে সেতু