শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন

মেয়র আনিসুল হক সড়ক

একুশে নিউজ
  • প্রকাশিত সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৩:০৬
  • ২৪০ এই সময়
  • শেয়ার করুন

মেয়র আনিসুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কের নামফলক উন্মোচন করা হয়। নামফলক অনুযায়ী সড়কের নামকরণ করা হয়েছে মেয়র আনিসুল হক সড়ক। মেয়র আনিসুল হকের স্মরণে নামফলকের শুরুতেই লেখা আছে ‘ নয়ন তোমারে পায়না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে..হৃদয় তোমারে পায়না জানিতে,হৃদয়ে রয়েছ গোপনে’…

শনিবার বিকেলে তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র আনিসুল হকের প্রথম মৃত্য্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘ মেয়র আনিসুল হক সড়ক’ এর উন্মোচন করা হয়। নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের পরিবারের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, ভাই, প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা, কাউন্সিলর এবং তেজগাঁও ট্র্যাক স্ট্যান্ডের শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক বলেন, আনিসুল হকের নামে রাস্তারটির নাম করণ করায় কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে যখন এই রাস্তায় কোন ট্রাক ও অবৈধ দখল থাকবেনা, তখনই এর নাম করণের সার্থকতা হবে। এপারের সবার ভালোবাসা নিয়ে অপারেও ভালো থাকবেন আনিসুল হক।

আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হক বলেন, বাবা সব সময় ঢাকাবাসির জন্য কাজ করে গেছেন। ঢাকায় ৪ হাজার বাস নামাতে চেয়েছিলেন। এবং সেগুলো রাখার জন্য গাবতলিতে বড় পরিসরে একটি মাল্টিস্টোরেজ টার্মিনাল নির্মানের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তিনি তা শুরু করতে পারেনি। ডিএনসিসি তার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করে তাকে সবার মাঝে বাচিঁয়ে রাখবে এটাই প্রত্যাশা করি।

সভাপতির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. জামাল মোস্তফা বলেন, আনিসুল হক স্বপ্ন দেখতেন এবং স্বপ্ন দেখাতেন।তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ডিএনসিসি কাজ করে যাচ্ছে।

বক্তব্য রাখেন প্রায়ত আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক। ছবি একুশে নিউজ

রাজনীতিতে কোনো দলে নাম না লেখানো আনিসুল হক ২০১৫ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও ‘স্মার্ট’ নগরী হিসাবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে আলোচিত ও প্রশংসিত হন তিনি।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এই তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনালের সামনের সড়ক দখলমুক্ত করতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ চালকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। পরে এই সড়ক দখলমুক্ত করেন তিনি। রাতারাতি তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছান। নামফলকে তার স্মরণে আরো লেখা আছে, মেয়র আনিসুল হক জন্মেছিলেন ২৭ অক্টোবর ১৯৫২ সালে, নোয়াখালী জেলায়। তিনি চট্রগ্রাম বিশ্ববদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। একসময় তিনি ছিলেন জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক। ২০০৫-০৬ সালে তিনি নির্বাচিত হন তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি নির্বাচিত হন ২০০৮ সালে। আনিসুল হক ২০১০-১১ সালে সার্ক চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। ৬ মে ২০১৫ সালে তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এসময় তিনি ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন, পরিকল্পিত, সবুজ, সচল, নিরাপদ ও মানবিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে থাকেন। তিনি ছিলেন ঢাকার অন্যতম সফল মেয়র।

উল্লেখ্য: ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে লন্ডন যান আনিসুল হক। সেখানে তিনি সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিসে (মস্তিষ্কের রক্তনালীর প্রদাহ) রোগে আক্রান্ত হন। অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আনিসুল হক।

এই বিভাগের আরো খবর

ব্রেকিং:

আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা পাকিস্তানের

১৭ জেলায় হতে পারে ৬০ কিমি বেগে ঝড়, সতর্ক সংকেত

সরকারি হাসপাতালগুলোতে আছে রাসেল’স ভাইপারের এন্টিভেনম

বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে, কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণের শঙ্কা

শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অচল ৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

স্ত্রীকে ফেসবুক থেকে দূরে রাখা নিষ্ঠুরতার শামিল

রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে এটিইউ

ধনী কর্মকর্তাদের সম্পদের উৎসের খোঁজ শুরু করছে দুদক

টি-২০ বিশ্বকাপে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরার পুরস্কার পেলেন যারা

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব বিশেষ নির্দেশনা