রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন

মন্ত্রীদের বেতন, ভ্রমণ ব্যয়ে কাটছাঁট করছে শ্রীলঙ্কা

একুশে নিউজ
  • প্রকাশিত সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৪
  • ৩০৪ এই সময়
  • শেয়ার করুন

মন্ত্রীদের বেতন, ভ্রমণ ব্যয়ে কাটছাঁট করছে শ্রীলঙ্কা। আজ শুক্রবার মন্ত্রীদের বেতন ও ভ্রমণ ব্যয় কমানোসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে। এই সিদ্ধান্ত বিতর্কিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ রাজাপক্ষের নিজস্ব মন্ত্রীরাই গতকাল বৃহস্পতিবার ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এক মাস ধরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে রাজনৈতিক বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে সরিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে নিয়োগ দেওয়ায় দেশটিতে সাংবিধানিক সংকট দেখা দেয়। এরপর পার্লামেন্টে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলে এর ওপর ভোটাভুটি হয়। বেশির ভাগ পার্লামেন্ট সদস্য রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন। পরপর দুবার অনাস্থা ভোটে হেরে যান রাজাপক্ষে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন সরকার অন্য দেশগুলোর অনুমোদন এখনো পায়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বাজেট কমানোর প্রস্তাবের ভোট বর্জন করেন রাজাপক্ষের বিশ্বস্ত মন্ত্রীরা। পার্লামেন্টের ২২৫ জন সদস্যের মধ্যে ১২৩ জনই না ভোট দেন। প্রস্তাবটি অবৈধ বলে যুক্তি দেখান তাঁরা। মন্ত্রীরা বলেন, যেকোনো মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মন্ত্রীদের বেতনবিষয়ক কোনো প্রস্তাব অনুমোদন করার ক্ষমতা নেই।

শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী রাজাপক্ষে ২০০৫ সাল থেকে টানা এক দশক দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর আমলেই ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী ‘তামিল টাইগার’ গেরিলাদের পরাজিত করে। তবে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন তিনি; বিশেষ করে দেশটির সংখ্যালঘু তামিল জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নের অভিযোগে ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এ কারণে ২০১৫ সালের নির্বাচনে ভোটাররা তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য নির্বাচিত করেননি। অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে নিজের ডেপুটি সিরিসেনার কাছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যান তিনি। ওই নির্বাচনে বিক্রমাসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) সিরিসেনাকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি দিল্লির সঙ্গে ইউএনপির ঘনিষ্ঠতা এবং সিরিসেনাকে হত্যায় ‘ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার জড়িত থাকার অভিযোগ’ নিয়ে দুই দলের ঘনিষ্ঠতায় ছেদ পড়ে। তারপরই রাজাপক্ষের দিকে ঝুঁকে পড়েন সিরিসেনা।

এই বিভাগের আরো খবর

ব্রেকিং:

কাউন্সিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিবর্তন হতে পারে

বাজারে বাহারি সবজিতে মিলছে না স্বস্তি

ভবনে থাকেন বিএনপি নেতা, পার্কিংয়ে মিলল এস আলমের গাড়ি

পদত্যাগ করল আউয়াল কমিশন

এক যুগ পর বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়লেন পাপন

শিক্ষার্থীরা এ দেশকে পুনর্জন্ম দিয়েছে: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ আজ

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র

আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সরকার উৎখাতে গড়াবে, সেটি কেউ ভাবেনি: জয়

আলোচনায় বসতে চায় আওয়ামী লীগ: জয়