চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় শাশুড়ি-ননদ মিলে অন্তসত্তা মৌসুমিকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত মনিরুল মাষ্টার ও তার পরিবারের এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মনিরুল মাষ্টারের কঠোর শাস্তির দাবীতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল।
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামের কাসেম মাষ্টারের ছেলে দামুড়হুদা সরকারী পাইলট হাইস্কুলের ভোকেশনাল শাখার কম্পিউটার শিক্ষক মনিরুলের সাথে বিবাহ হয় উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের মোয়াজ্জেমের মেয়ে মৌসুমির। তাদের সংসার জীবনে ১ টি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মনিরুল মাষ্টার তার মা হাসিনা ও তার বোন রত্না বিভিন্ন কারনে মৌসুমীকে অমানুষিক নির্যাতন করে আসছে। মৌসুমির পরিবার বারবার বিষয়টি নিয়ে সুরহা করলেও তাতেও শুধরায়নি মনিরুলসহ তার পরিবারের লোকজন।
গত মঙ্গলবার মনিরুল মাষ্টার তার মা হাসিনা ও বোন রত্না মিলে অন্তসত্বা স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে মৌসুমিকে স্কার্প দিয়ে গলা টিপে ধরে হত্যার চেষ্টা চালায় মনিরুল মাষ্টার, তার বোন রত্না ও মা হাসিনা। পরে তাকে ঘরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে মৌসুমির পরিবার কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করলে মেয়েটিকে চন্দ্রবাস থেকে উদ্ধার করা হয়।