ওবেসিটি, থাইরয়েড, ডায়াবিটিস কিংবা কোলেস্টেরলের চোখ রাঙানি এ সবের সঙ্গে লড়তে গেলে কেবল শরীরচর্চাই একমাত্র সমাধান নয়। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি খাওয়া আর সেই সঙ্গে খাবারদাবারে নজর দেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
ডায়েট মেনে বা খুব নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াদাওয়া করার সুযোগ ঘটে না অনেকেরই। তবু একটু সচেতন হলে ওজন বাড়াতে পারে এমন সব খাবার পাত থেকে সহজেই বাদ দেওয়া যায়। বরং তার জায়গায় নিয়ে আসুন স্বাস্থ্যকর কিছু খাবারদাবার।
প্রতি দিনের ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার পর্যন্ত নানা ধাপে এই সব খাবার পাতে যোগ করলেই সুফল পাবেন অনেকটা। সঙ্গে একটু হাঁটাহাঁটি ও পর্যাপ্ত জলেই কমবে ওজন। দূরে থাকবে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে হওয়া নানা অসুখবিসুখ।
হোল গ্রেন ব্রেড: সাদা নয়, ব্রাউন ব্রেডকে আনুন খাওয়ার পাতে। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি হোল গ্রেন ব্রেড খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এর ফাইবার রুটির চেয়েও বেশি। এবং গ্লাইসেমিক রেটও কম। তাই এর শর্করা তাড়াতাড়ি গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়।
ওটস: সকালের ব্রেকফাস্টে রুটির বদলে যোগ করুন ওটস। আধ কাপ দুধে ৫০ গ্রাম ওটস এই অনুপাতেই ব্রেকফাস্ট টেবিল সাজান আপনার।
কলা: কোলেস্টেরল থাকলে ডিমের কুসুম বাদ দিন জীবন থেকে। বরং ওটসের সঙ্গে দু’টো কলা খেয়ে শুরু করুন দিন। কলায় পটাশিয়াম যেমন বেশি, তেমনই মেদ ঝরাতেও খুব সাহায্য করে এই ফল। কলার ২৩ শতাংশ শর্করা। পেশিশক্তি বাড়াতেও এই ফল বিশেষ কার্যকর।
রাঙা আলু: আলু বাদ দিয়েছেন ডায়েট থেকে? বেশ। তবে ভুলেও রাঙা আলুকে বাদ দেবেন না। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা যেমন এতে কমে, তেমনই এর ভিটামিন সি, ফাইবার ও পটাশিয়ামের জোগানও মেলে এই খাবার থেকে। রাঙা আলুতে পেট ভরেও থাকে অনেক ক্ষণ। তাই বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। ওজন কমতে সাহায্য করে এই বিষয়টিও।
আপেল: একটি মাঝারি মাপের আপেল থেকে পাওয়া যায় মোটামুটি ৮১ ক্যালোরি। হাঁটাহাঁটি বা শরীরচর্চার আগে এক গ্লাস আপেলের শেক খেলে আপনার শক্তির জোগান যেমন বাড়বে, তেমনই শরীরের অতিরিক্ত মেদও কমাবে আপেল। মেদ ধরানোর ইচ্ছা থাকলে প্রতি দিনের ডায়েটে সব ফলের মধ্যে অন্তত একটা আপেল রাখুন।
ফ্লেক সিড: শস্যদানায় লুকিয়ে মেদ কমানোর মন্ত্র। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে ও মেদ ঝরাতে এই ধরনের খাবারের বিশেষ ভূমিকা আছে। পেশির শক্তি বাড়াতেও এই খাবার কার্যকর। সন্ধের খাবারে রাখুন এটি।
ডায়েটে এ সব যোগ করার পাশাপাশি শরীরচর্চা করুন। তার সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি খান। শুধু তা-ই নয়, কমিয়ে দিন লবণের পরিমাণ। চিনির বদলে গুড়ের বাতাসা বা নারকেলের চিনি যোগ করুন রান্নায়। কম তেল-মশলায় আস্থা রাখুন। এ সব নিয়ম মেনে চললে ওজন কমবে সহজেই।